জোছনা ও জননীর গল্প - হুমায়ূন আহমেদ
বইটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর কেন্দ্র করে লেখা। যুদ্ধ টা কিভাবে শুরু হল, কিভাবে শেষ হল, এই যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কিছু সুভিধাভোগী মানুষ কিভাবে দেশের ও দেশের মানুষের ক্ষতি করে নিজের জন্য ব্যাবহার করলো তাদের কথা, পাকিস্তানিরা কি নৃশংস ভাবে মানুষ হত্যা ও ধর্ষণ করেছিলো, মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অবস্থান, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন তাদের নানা অ্যাকশনের কাহিনী, যুদ্ধে যেসব দেশ বাংলাদেশ কে সাহায্য করেছিল এবং করেনি তাদের কথা এমন আরও অনেক তথ্য নিয়ে ১৯৭১ সালের ঐ সময় টাতে বাংলাদেশের কি অবস্থা ছিল পুরো ব্যাপার টা লেখক এই বইতে আনার চেষ্টা করেছেন।
যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি অর্থাৎ যারা এই প্রজন্মের তাদের কাছে বইয়ের অনেক তথ্যই ভুল কিংবা কাল্পনিক মনে হতে পারে। আর আমার মনে হয় হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন আমি একজনের বইতে দেখলাম ঘটনা ছিল একটা, এই বইতে দেখি কাহিনী অন্যটা। তাহলে আমি কোনটা সত্য মনে করবো ?
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত কাহিনী জানতে তাই প্রয়োজন এই বিষয়ে প্রচুর ভালো বই পড়া। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত ভালো বই আছে তার মধ্যে জোছনা ও জননীর গল্প হল একটি। এই বইতে যে প্রচুর তথ্য কিংবা সব ইতিহাস আছে এমন টা ভাবা একদম বোকামি। খুব অল্প কিছু ঘটনা আর মানুষের কথা পাবেন এই বইতে। কিন্তু লেখক যে কি অসাধারণ ভাবে বর্ণনা করেছেন তা হয়তো আর অন্য কোন বইতে পাবেন না। যে কারনে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ভালো বই থাকা সত্ত্বেও এই বইটা এতো বেশি জনপ্রিয়।
বলতে খুবই খারাপ লাগছে তাও একটু সময় নিয়ে নিচের অংশ টুকুও পড়বেন আশা করি।
ফেসবুকে অনেক পাঠককে দেখেছি "জোছনা ও জননীর গল্প, আমার পড়া সেরা মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস" এই জাতীয় মন্তব্য করে। দেখুন এই বইটা অবশ্যই একটা ভালো বই কিন্তু আরও অনেক ভালো বইও আছে। আপনার কি উচিৎ না ওগুলো পড়ে দেখা ? ইতিহাস জানা ভালো, কিন্তু একজনের লেখায় আটকে থাকা মোটেও ভালো না।
যেসব বই থেকে তথ্য নিয়ে এই উপন্যাস টি লেখা হয়েছিল তা বইয়ের শেষে দেওয়া আছে। সেখান থেকে আপনি মুক্তিযুদ্ধের অনেক গুলো ভালো বইয়ের নাম পাবেন। অসাধারণ রিভিউ কিংবা ৫/৫ রেটিং দেখেই বই ভালো হবে, তাতে সব থাকবে এমন কখনো ভাববেন না। আবার কম রেটিংয়েরও অনেক ভালো বই আছে, যা একটু প্রচার কম হয়। তাই ভালো বইয়ের খোঁজ টা আপনাকেই করতে হবে। আমি একটা উপায় বলতে পারি, ভালো লেখকদের ফলো করতে পারেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের কিংবা অন্য বিষয়ের উপর কোন বই গুলো পড়েছে। এই ভাবে অনেক ভালো বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়।
ছবি ঃ জোছনা ও জননীর গল্প - হুমায়ূন আহমেদ, অন্যপ্রকাশ |
যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি অর্থাৎ যারা এই প্রজন্মের তাদের কাছে বইয়ের অনেক তথ্যই ভুল কিংবা কাল্পনিক মনে হতে পারে। আর আমার মনে হয় হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন আমি একজনের বইতে দেখলাম ঘটনা ছিল একটা, এই বইতে দেখি কাহিনী অন্যটা। তাহলে আমি কোনটা সত্য মনে করবো ?
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত কাহিনী জানতে তাই প্রয়োজন এই বিষয়ে প্রচুর ভালো বই পড়া। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত ভালো বই আছে তার মধ্যে জোছনা ও জননীর গল্প হল একটি। এই বইতে যে প্রচুর তথ্য কিংবা সব ইতিহাস আছে এমন টা ভাবা একদম বোকামি। খুব অল্প কিছু ঘটনা আর মানুষের কথা পাবেন এই বইতে। কিন্তু লেখক যে কি অসাধারণ ভাবে বর্ণনা করেছেন তা হয়তো আর অন্য কোন বইতে পাবেন না। যে কারনে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ভালো বই থাকা সত্ত্বেও এই বইটা এতো বেশি জনপ্রিয়।
বলতে খুবই খারাপ লাগছে তাও একটু সময় নিয়ে নিচের অংশ টুকুও পড়বেন আশা করি।
ফেসবুকে অনেক পাঠককে দেখেছি "জোছনা ও জননীর গল্প, আমার পড়া সেরা মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস" এই জাতীয় মন্তব্য করে। দেখুন এই বইটা অবশ্যই একটা ভালো বই কিন্তু আরও অনেক ভালো বইও আছে। আপনার কি উচিৎ না ওগুলো পড়ে দেখা ? ইতিহাস জানা ভালো, কিন্তু একজনের লেখায় আটকে থাকা মোটেও ভালো না।
যেসব বই থেকে তথ্য নিয়ে এই উপন্যাস টি লেখা হয়েছিল তা বইয়ের শেষে দেওয়া আছে। সেখান থেকে আপনি মুক্তিযুদ্ধের অনেক গুলো ভালো বইয়ের নাম পাবেন। অসাধারণ রিভিউ কিংবা ৫/৫ রেটিং দেখেই বই ভালো হবে, তাতে সব থাকবে এমন কখনো ভাববেন না। আবার কম রেটিংয়েরও অনেক ভালো বই আছে, যা একটু প্রচার কম হয়। তাই ভালো বইয়ের খোঁজ টা আপনাকেই করতে হবে। আমি একটা উপায় বলতে পারি, ভালো লেখকদের ফলো করতে পারেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের কিংবা অন্য বিষয়ের উপর কোন বই গুলো পড়েছে। এই ভাবে অনেক ভালো বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়।
No comments