বই পড়া বিষয়ে
ভালো বই যাচাই একটা পদ্ধতি হতে পারে বইটা বাজারে কত সময় ধরে টিকে আছে তার উপর। আজেবাজে বই টাকা পয়সা খরচ করে প্রকাশ পেলেও তা বন্ধু, ফেসবুক ফ্যান-ফলোয়ার, আত্মীয় দের জোড় করিয়ে কেনানো যায়। পরে সেই বই আর চলে না, তাই প্রকাশকও ঐ ধরনের বইয়ের পুনরায় মুদ্রণ করেন না। একটা বই যদি অনেকদিন ধরে বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে তাহলে ধরে নেওয়া যায় সে বইয়ের চাহিদা আছে বলেই তা টিকে আছে। না হলে কত বই হারিয়ে যেত।
যেহেতু এখন ইন্টারনেট আমারা যেকোনো বই সম্পর্কে সহজেই ধারনা নিতে পারি সে ক্ষেত্রে কোন বই কেনার আগে তার পাঠক রিভিউ পড়া যেতে পারে। Goodreads, ফেসবুক কিংবা Google এক্ষেত্রে অনেক সাহায্যকারি মাধ্যম হতে পারে। সার্চ টা হবে এই ভাবে 'da vinci code book review'. অনেক রেজাল্ট পাবেন। ইংরেজি বইয়ের ক্ষেত্রে amazon কিংবা এমন অনেক সাইটে বইয়ের কিছু পৃষ্ঠা পড়া যায়। বাংলা বই হলে rokomari.com এখানেও কিছু পৃষ্ঠা পড়া যায়। তো পড়ার পরে ভালো লাগলে নিবেন। অমুকের ভালো লাগছে, বিল গেটস অমুক বই পড়ছে তাই আমাকেও সেই বই পড়তে হবে এমন চিন্তা করবেন না। হ্যাঁ আপনার থেকে অনেকের জ্ঞান বেশি থাকতে পারে কিন্তু আপনার নিজেরও তো একটা টেস্ট আছে। কিছু আজেবাজে বই না হয় পড়লেন।
বই পড়াই সব কিছু না। এটা শুধু বিনোদন এর মাধ্যম নয়। এটা আপনার চিন্তা শক্তিতে আঘাত করে। তাই বেশি আজেবাজে বই পড়া থেকে সাবধান। বর্তমান যুগে তথ্য সংগ্রহের জন্য বই ছাড়াও আরও অনেক ভালো মাধ্যম আছে। কিন্তু আপনি যখন একটা বই পড়েন তখন একই সাথে লেখকের পড়া অনেক জ্ঞান এর একটা অংশ আপনি পড়েন। লেখক বইতে কোন তথ্য দিলে সেটা লেখক যাচাই বাছাই করেই দিয়েছে তাই পাঠকের সময় কম লাগে। কিন্তু এক্ষেত্রে পাঠকের নিজেরও উচিৎ ক্রস চেক করে তথ্যের সত্যতা যতটুকু পারা যায় যাচাই করে নেওয়া।
আমার বই পড়তে ভালো লাগেনা কিংবা আমি বই পরিনা টাইপ কথা যারা বলে তারা আসলে কখনো ভালো কোন বই পড়ে নাই বলেই এমন টা বলে। আবার এমনও হতে পারে, বই ভালো ছিল কিন্তু সেটা তার বয়সের তুলনায় উপযুক্ত বই ছিল না। যেমন রুপকথার গল্প যদি একজন ৪০-৫০ বছরের পাঠক পড়ে সাধারনত মজা পাবেন না, আবার বড় মানুষের বই ছোটরা পড়ে মজা পাবে না।
প্রথমেই একটা কথা পরিষ্কার জেনে রাখুন, একটা ভালো বই একটা মজার খাবারের মত। বই যদি ভালো হয়, সেটা পড়ে ভালো লাগবেই। এ জন্য যেকোনো বই শুরু করার আগে তার একটু টুকটাক রিভিউ, বইয়ের রেটিং সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। এক্ষেত্রে Goodreads এর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। Goodreads কি তা জানতে এই ভিডিও টি দেখুন।
যেহেতু এখন ইন্টারনেট আমারা যেকোনো বই সম্পর্কে সহজেই ধারনা নিতে পারি সে ক্ষেত্রে কোন বই কেনার আগে তার পাঠক রিভিউ পড়া যেতে পারে। Goodreads, ফেসবুক কিংবা Google এক্ষেত্রে অনেক সাহায্যকারি মাধ্যম হতে পারে। সার্চ টা হবে এই ভাবে 'da vinci code book review'. অনেক রেজাল্ট পাবেন। ইংরেজি বইয়ের ক্ষেত্রে amazon কিংবা এমন অনেক সাইটে বইয়ের কিছু পৃষ্ঠা পড়া যায়। বাংলা বই হলে rokomari.com এখানেও কিছু পৃষ্ঠা পড়া যায়। তো পড়ার পরে ভালো লাগলে নিবেন। অমুকের ভালো লাগছে, বিল গেটস অমুক বই পড়ছে তাই আমাকেও সেই বই পড়তে হবে এমন চিন্তা করবেন না। হ্যাঁ আপনার থেকে অনেকের জ্ঞান বেশি থাকতে পারে কিন্তু আপনার নিজেরও তো একটা টেস্ট আছে। কিছু আজেবাজে বই না হয় পড়লেন।
বই পড়াই সব কিছু না। এটা শুধু বিনোদন এর মাধ্যম নয়। এটা আপনার চিন্তা শক্তিতে আঘাত করে। তাই বেশি আজেবাজে বই পড়া থেকে সাবধান। বর্তমান যুগে তথ্য সংগ্রহের জন্য বই ছাড়াও আরও অনেক ভালো মাধ্যম আছে। কিন্তু আপনি যখন একটা বই পড়েন তখন একই সাথে লেখকের পড়া অনেক জ্ঞান এর একটা অংশ আপনি পড়েন। লেখক বইতে কোন তথ্য দিলে সেটা লেখক যাচাই বাছাই করেই দিয়েছে তাই পাঠকের সময় কম লাগে। কিন্তু এক্ষেত্রে পাঠকের নিজেরও উচিৎ ক্রস চেক করে তথ্যের সত্যতা যতটুকু পারা যায় যাচাই করে নেওয়া।
আমার বই পড়তে ভালো লাগেনা কিংবা আমি বই পরিনা টাইপ কথা যারা বলে তারা আসলে কখনো ভালো কোন বই পড়ে নাই বলেই এমন টা বলে। আবার এমনও হতে পারে, বই ভালো ছিল কিন্তু সেটা তার বয়সের তুলনায় উপযুক্ত বই ছিল না। যেমন রুপকথার গল্প যদি একজন ৪০-৫০ বছরের পাঠক পড়ে সাধারনত মজা পাবেন না, আবার বড় মানুষের বই ছোটরা পড়ে মজা পাবে না।
প্রথমেই একটা কথা পরিষ্কার জেনে রাখুন, একটা ভালো বই একটা মজার খাবারের মত। বই যদি ভালো হয়, সেটা পড়ে ভালো লাগবেই। এ জন্য যেকোনো বই শুরু করার আগে তার একটু টুকটাক রিভিউ, বইয়ের রেটিং সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। এক্ষেত্রে Goodreads এর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। Goodreads কি তা জানতে এই ভিডিও টি দেখুন।
বই পড়ার ক্ষেত্রে যা করবেন নাঃ
কোন বই যদি পড়তে ভালো না লাগে তাহলে জোর করে সেটা পড়বেন না। ৫০০ পৃষ্ঠার বই ২০০ পৃষ্ঠায় এসে মনে হল বইটা আসলে যেমন ভালো শুনেছিলাম তেমন ভালো না, আবার এতো পৃষ্ঠার পড়ার পরে বইটা শেষ না করলে কেমন লাগে এমন ভাবার কোন দরকার নাই। অন্তত ২০০ পৃষ্ঠা পড়ার পরে Stop করে দিলে বাকি ৩০০ পৃষ্ঠা পড়ার সময় এবং প্যারা দুটোই Save হবে। বলতে পারেন, বাকি ৩০০ পৃষ্ঠায় অনেক ভালো কিছু থাকতেও তো পারে? হ্যাঁ পারে, এই রকম অবস্থায় নিজ গুনে সিদ্ধান্ত নিবেন।
এটা শুধু বই পড়া ক্ষেত্রেই না জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই এই ফর্মুলা এপ্লাই করা উচিৎ। মনে করেন, একটা বিশেষ খাবার আপনি কিনলেন কিন্তু তা মুখে দেওয়ার পরে দেখলেন এটা একদমই অখাদ্য। কি করবেন, এতো দামি খাবার ফেলে দিবেন? অন্য কাউকে সেটা দিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু নিজের উপর বোঝা চাপানোর কোন দরকার নাই। ভালো লাগে নাই, বাদ।
মুভি কিংবা সিরিজ দেখতেছেন। অনেকক্ষণ দেখার পর মনে হইলো, নাহ! তেমন ভালো লাগতেছেনা। বাদ দেন দেখা। তখনই সেটা দেখা বাদ দিয়ে অন্য কাজ করেন। ১২০ মিনিটের সিনেমার ২০ মিনিট দেখে অফ করে দিলে অন্তত বাকি ১০০ মিনিট Save হবে, এইভাবে ভাবেন।
বই পড়া বিষয়ে মুরাদুল ইসলামের এই লেখাটি পড়তে পারেন। উনি খুব সুন্দর ভাবে বই পড়ার গুরুত্ব নিয়ে এই লেখাটি লিখেছেন। বই পড়ার গুরুত্বঃ বই পড়ে লাভ কী?
No comments