১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩ লাখ নাকি ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলো
নীচে দুইটা লেখা সহ অরিজিনাল লিংক দিলাম। এগুলো পড়লে ৩ লাখ নাকি ৩০ লাখের ব্যাপারে যে কনফিউশন আছে সেটা দূর হবে আশা করি। এই লেখা গুলোর কমেন্ট গুলাও পড়বেন। সেখানেও এই ব্যাপারে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে।
১ম লেখাঃ এটি লিখেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ২০১৩ সালে, somewhereinblog এ।
মূল লেখার লিংকঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/pinaki007/29876016https://www.somewhereinblog.net/blog/pinaki007/29876016 ।
জামাতের পক্ষ থেকে একটা বিতর্ক চালু করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে। এর ফলে তাদের অপরাধ লঘু করে দেখানোর একটা প্রচেষ্টা করা হয়।
জামাতের পক্ষ থেকে একটা বিতর্ক চালু করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে। এর ফলে তাদের অপরাধ লঘু করে দেখানোর একটা প্রচেষ্টা করা হয়।
পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে সে যুদ্ধ গুলোর কোনটাতেই বেসামরিক মৃত্যুর কোন নাম ধরে তালিকা নাই। এমন তালিকা এখনো করা হয়না। কারণ এটা করা সম্ভব না। যুদ্ধ একটা অস্বাভাবিক অবস্থা, এটা রোড ট্র্যাফিক অ্যাকসিডেন্ট নয়। এসময় শুধু তথ্য সংগ্রহের সমস্যা নয়, এই অস্বাভাবিক অবস্থায় আরো অনেক ঘটনা ঘটে। যেমন, ব্যাপক সংখ্যক মানুষ দেশ ত্যাগ করে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ফেরেনা, অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান, পরিবার-সমাজ বিহীন ভবঘুরে মানুষরাও নিহত হন যাদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়না। এছাড়াও আছে যুদ্ধের কারণে পরোক্ষ মৃত্যু। যারা হত্যা করে তারাও অপরাধ ঢাকার জন্য মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলে। এসব কারণেই যুদ্ধে নিহতের পরিসংখ্যান সব সময় একটা সংখ্যা; একটা নামসহ পুর্নাঙ্গ তালিকা নয়। এটাই পৃথিবীব্যাপী গৃহীত নিয়ম। যারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের তালিকা চায় তাদের যে কোন একটা গণযুদ্ধের বেসামরিক নিহত নাগরিকদের তালিকা দেখাতে বলুন। যুদ্ধে মৃত বা নিখোঁজ সামরিক ব্যাক্তিদের তালিকা করা সম্ভব কিন্তু বেসামরিক ব্যাক্তিদের নয়।
এই এস্টিমেসন কিভাবে করা হয়? আর জে রুমেল তার চায়নাস ব্লাডি পলিটিক্স বইয়ে এবং লিথাল পলিটিক্স বইয়ের পরিশিষ্টে গণহত্যার পরিসংখ্যান কিভাবে করতে হয় সেটার একটা মেথডোলজি দিয়েছেন আগ্রহীরা পুরোটা পড়তে পারেন http ESTIMATING DEMOCIDE: METHODS AND PROCEDURES রুমেলের পদ্ধতি অনুসারে প্রাপ্ত মৃতের সংখ্যাকে আরো সাব গ্রুপে ভাগ করতে হবে যেমন জেলা ওয়ারী, নারী পুরুষ অনুযায়ী এরপর প্রয়োজনে ধর্ম বা জাতি অনুযায়ী; ফলে একটা গ্রহণযোগ্য সংখ্যায় উপনিত হওয়া যায়। এটা অনেক সময়েই একটা রেঞ্জ, যেমন হলোকাস্টে মৃতের সংখ্যা ৪২ লক্ষ থেকে ৬০ লক্ষ। রুমেল যদিও তিনটা রেঞ্জ দিয়েছেন লো, মিডিয়াম, হাই। কিন্তু সাধারনভাবে দুইটা রেঞ্জ ব্যবহার করা হয়। আমেরিকান সিভিল ওয়ারে ৬-৭ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছিলো। রুমেল তার পদ্ধতিতে কিভাবে এই রেঞ্জটা করা হয় সেটারও একটা মেথড বলে দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সিরিয়া যুদ্ধেও এভাবেই মৃতের সংখ্যার হিসাব করা হচ্ছে। ইরাকেও সেভাবেই করা হয়েছে। ইরাক যুদ্ধের নিহতের সংখ্যা নিয়ে গবেষণা পত্র Civilian Death and Injury in the Iraq War, 2003-2013 এই শিরোনামে ২০১৩ তেই প্রকাশিত হয়েছে। আজকে এই ধরণের গবেষণার জন্য ডেটা কালেকশন অনেক সহজ, ৪২ বছর আগে সেটা ছিল না। তবুও সে সময় এই রকম গবেষণার ফলাফলেই ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ইতিহাসের প্রয়োজনে এবং জনগোষ্ঠীর আবেগের সাথে তাল মিলিয়ে যুদ্ধে মৃতের একটা আইকনিক ফিগার বলা হয় যেমন আমেরিকান গৃহ যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বলা হয় ৬ লক্ষ ২০ হাজার। এটা প্রকৃত সংখ্যা নয়, একটা আইকনিক ফিগার।
বাংলাদেশে অনেকে বলার চেষ্টা করেন যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা আন্দাজে বলা হয়েছে। এই অভিযোগটা আসে মুলত জামাত ঘরানার মানুষদের কাছে থেকে। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত কোন আলোচনায় তারা বৈধতা বের করতে পারেনা। কোন যুক্তিতেই তারা কাউকে কনভিন্স করতে পারেনা। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে মানুষকে কনফিউজ করে দিতে চায়।
মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা প্রথমে বিশ্ববাসী জানতে পারে প্রভদায় ৩রা জানুয়ারি ১৯৭২ এ প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে।
প্রাভদার সেদিনের পত্রিকা
দুদিন পর এই খবর দৈনিক আজাদিতে ছাপা হয়। শেখ মুজিব লন্ডনে এই সংখ্যাই উল্লেখ করেছিলেন। আর সেটাই হয়ে উঠেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আইকনিক ফিগার।
শেখ মুজিব দেশে ফিরে দলের নেতাদের গণহত্যার তথ্য জমা দিতে বলেছিলেন। সেই তথ্য কোথায় জমা পড়েছিল বা আদৌ কোথাও জমা আছে কিনা সেটা কারো আজ জানা নেই।
তবে ৩০ লক্ষের হিসাব নিখুতভাবে দেয়া আছে একটি বইয়ে যেটা আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত। আসুন আমরা দেখি।
রুমেল তার STATISTICS স্টাটিস্টিক্স অব ডোমিসাইড বইয়ের Statistics Of Pakistan's Democide Estimates, Calculations, And Sources ৮ম চ্যাপ্টারে মুক্তিযুদ্ধে জেলাওয়ারি শহীদের সংখ্যা, পর্যাপ্ত রেফারেন্স সহ গ্রথিত করেছেন। এই ৩০ লক্ষের বিষয়টা সেখানেই আছে। এই বইটিতে শুধু বাংলাদেশ নয় ভিয়েতনাম যুদ্ধ পর্যন্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক যুদ্ধের পরিসংখ্যান দেয়া আছে। এবং এই বইটি একটা বিশ্বব্যাপী গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক রেফারেন্স।
ছবিটা বড় করে দেখতে চাইলে ক্লিক করুন
সেই বইয়ের হিসাবের ৮২ নং রো এর ১১ নম্বর কলামে দেখুন ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা জ্বলজ্বল করছে। এই টেবিলের প্রত্যেকটা সংখ্যার রেফারেন্স দেয়া আছে। এই সংখ্যাটা হাওয়া থেকে আসেনি। এই মাটিতেই মিশে আছে তাদের রক্ত, এই মাটিতেই তাঁরা কান পেতে আছে মানুষের মুক্তির সংবাদ আর সংগ্রামের বিজয়ের বিউগল ধ্বনি শোনার জন্য।
শান্তিতে ঘুমাও প্রিয় শহীদ, আমরা আমাদের কর্তব্য বিস্মৃত হইনি।
=====================================================================
২য় লেখাঃ এটি লিখেছেন মোঃ মামুন চৌধুরী, ২০১৪ সালে, somewhereinblog এ। এখানে নিহতের সংখ্যার হিসাব-নিকাশের একটা ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।
মূল লেখার লিংকঃ https://www.somewhereinblog.net/blog/neelmamun/29991706
আজকে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোরের একটি নিউজ লিংকে দেখলাম য, তথাকথিত মার্কিনী দালাল আলযাযিরা চ্যানেল এক ভিডিও নিউজে দাবী করে বলেন যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন ৩০ লক্ষ নয় মাত্র ৩-৫ লক্ষ্য মারা গিয়েছে!!
-
সেখানে যে ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে তাতে পুরুষেরা শার্ট প্যান্ট আর মহিলারা টপস /স্কার্ট পরা এবং এরা বর্ণে শ্বেতাঙ্গ!
-
[আমি আমাদের বর্ণ কৃষ্ণাঙ্গ বলছি না কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ছবির মানুষগুলো আমাদের আগের জেনারেশনের কেউ নয়]
-
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ নয় মাত্রা ৩-৫ লক্ষ!!কেউ কেউ বলেন ৯ মাস অর্থাৎ ২৭০ দিনের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ্য লোকের মৃত্যুবরণ ঘটেছে!! মানে প্রতিদিন প্রায় ১১,১১১ জন কে হত্যা করা হয়েছে! ব্যাপার টা আসলেই যেন কেমন কেমন!!
-
একজন মানুষ কে হত্যা করলে কত খবর হয়ে যায় আর এত মানুষ প্রতিদিন মারা হইছে? কেমনে কি??বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৩ বছর আগে অথচ এই বিতর্ক এখনো যাচ্ছে না ... যে মহান মুক্তিযুদ্ধে নাকি ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয় নাই ... হয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ!
আচ্ছা বেশি তর্ক বিতর্কের দরকার নাই!!
কয়েকটা নমুনা দেখিঃ
(১) মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের লোক সংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি। এখন যদি প্রত্যেক পরিবারে ৫ জন করে সদস্য করে থাকে তবে ১৯৭১ সালে মোট পরিবারের সংখ্যা গড়ে দেড় কোটি।
৩০ লক্ষ শহীদ মোট জনসংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি অর্থাৎ = ৪%
অর্থাৎ = ১,৫০,০০,০০০ x ৪% = ৬,০০,০০০ পরিবার
অর্থাৎ ৬,০০,০০০ পরিবারের কেউ না কেউ তো মারা গিয়েছেন। এখানে এটা বুঝতে হবে অনেক পরিবারের এমনও হয়েছে কেউ বেঁচে ছিলেন না, আবার ১ জন ছাড়া সবাই মারা গিয়েছেন, আবার ১ জন মারা গিয়েছেন অথবা পরিবারের কেউ মারা যাননি! অর্থাৎ দেড় কোটি পরিবারের মধ্যে ৬ লক্ষ পরিবার হামলার শিকার হয় নি একথা নিশ্চয়ই আপনার না বিশ্বাস করার কথা!
অথবা এভাবে দেখুন, দেড় কোটি পরিবার ছিল আর প্রতি পরিবারে সদস্য সংখ্যা গড়ে ৫ জন! ৩০ লক্ষ লোক দেড় কোটি পরিবারের মারা গিয়েছে অর্থাৎ প্রত্যেক পরিবারে শতকরা ০.২০ জন। অর্থাত ১০০ পরিবারে মধ্যে ২০ টি পরিবার যারা পাকি / পাকির দোসর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে! সংখ্যাটা কি অমূলক!! আপনিই বলেন?
(২) মানব ইতিহাসে যত গণহত্যা হয়েছে এর মধ্যে বাংলাদেশের ১৯৭১’ এর গণহত্যায় স্বল্পতম সময়ে এই সংখ্যা সর্ববৃহৎ। গড়ে প্রতিদিন ৬,০০০ - ১২,০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। .. .. .. এটি হচ্ছে গণহত্যার ইতিহাসে প্রতিদিনে সর্ব্বোচ্চ নিধনের হার।
তার মানে দাঁড়াইতাছে, পাক বাহিনী এই নাপাক কামডা (দিনপ্রতি ৬০০০-১২০০০ বাঙালী নিধন) করছে মোটামুটি ২৬০দিনে (একাত্তুরের ২৫-এ মার্চ থেইক্যা শুরু কৈরা ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত)। আওয়ামী বাকশালী ভারতের দালাল গো দেওয়া তথ্য না, ইউ এন এর নিরপেক্ষ ডাটা লৈয়া একটু হিসাব করণ যাক। আহেন ভাইসব, একটু ক্যালকুলেটর লৈয়া বসি:
বাঙালী নিধনের লোওয়ার লিমিট: ৬০০০ x ২৬০ = ১৫,৬০,০০০ (১৫ লক্ষ ৬০ হাজার)। আর নিধনের আপার লিমিট: ১২০০০ x ২৬০ = ৩১,২০,০০০ (৩১ লক্ষ ২০ হাজার)।
যদি আমরা “হ্যার মাঝামাঝি” লৈয়া হিসাব করি, তাইলে সংখ্যাডা দাঁড়ায়: ২৩,৪০,০০০ (তেইশ লাখ চল্লিশ হাজার)। ... আচ্ছা যান ৩০ লক্ষ নয় তাই বলে ৩লক্ষ তো আর হতে পারে না! অন্তত ২৩ লক্ষ তো হবেই!!
(৩) মুক্তিযুদ্ধে চলাকালীন ৯ মাস অর্থাৎ ২৭০ দিনের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ্য লোকের মৃত্যুবরণ ঘটেছে!! মানে প্রতিদিন প্রায় ১১,১১১ জন কে হত্যা করা হয়েছে! ব্যাপার টা আসলেই যেন কেমন কেমন!!
হিসেব টা একটু অন্যভাবে দেখলে হয় না!
৪৮০ টি থানা, ৪৫০০ ইউনিয়ন, ৬৮০০০ গ্রাম এই ভাবে একটু ক্যালকুলেশন করেন না!
অর্থাৎ প্রতিদিন প্রতিটি থানায় = (৩০,০০,০০০ / ২৬০) / ৪৮০ = ২৪ জন (আনুমানিক) হত্যা করা হয়েছে
একই সূত্রে প্রয়োগ করলে প্রতিদিন প্রতি ইউনিয়নে ৩ জন (আনুমানিক)
আর প্রতিটি গ্রামে ২৬০ দিনে মারা গিয়েছেন = ৩০,০০,০০০ /৬৮০০০ = ৪৪জন (আনুমানিক)
সংখ্যাটি কি খুব বেশি??
গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ... জনমানব শূন্য হয়ে গিয়েছে!
আচ্ছা শুধুমাত্র ২টা দিনের কথা বলি,
২৫ শে মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের অভিযানে শুধুমাত্রা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও শিক্ষক কোয়ার্টার সহ ঢাকা শহরে শুধুমাত্র ৩ ঘন্টায় আনুমানিক ৬,০০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে!
পরিশেষে বলতে চাই এইসব বিশ্ব মিডিয়া ঢালাও ভাবে প্রচার করছে যে ৩০ লক্ষ নয় মাত্র ৩ লক্ষ মারা গিয়েছে!
ভাই আমি আরো কমাইয়া দিলাম যান ৩ হাজার জন মারা গেছেন!
তো আপনি কি বলতে চান ৩ হাজার কোনো সংখ্যা না!
শুধুমাত্র একটা ইনটেলেকচুয়াল জেনারেশন আমাদের মধ্যে হারিয়ে গেছে ... কে দিবে সেই ক্ষতি পূরণ?
মুনীর চৌধুরী বেঁচে থাকলে কত লিজেন্ডারি উপন্যাস পাওয়া যেত! জহির রায়হান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের সিনেমা সংস্কৃতি আজকে এখানে পড়ে থাকতো না। উনাদের অভাব কি আমারা টের পাচ্ছি না ...
এক হূমায়ুন আহমেদে মারা গিয়েছেন ... তার জায়গাটাই তো কেউ পূরণ করতে পারছেনা।
মোদ্দা কথা যাকে সাপ দংশন করেনি সে কিভাবে বুঝবে সাপের দংশনের যন্ত্রনা।
দুঃখ একটাই আমরা স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরে এসেও কেউ পাকির দালাল কেউ ভারতের কেউ আম্রিকার কিন্তু বাংলাদেশের দালাল কেউ হতে পারলাম না!
প্রয়োজনীয় লিংকঃ
১) তথ্য’বিনা মিথ্যা বোনা
২) ত্রিশ লক্ষ শহীদ : মিথ নাকি বাস্তবতা ?
১ম লেখাঃ এটি লিখেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য ২০১৩ সালে, somewhereinblog এ।
মূল লেখার লিংকঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/pinaki007/29876016https://www.somewhereinblog.net/blog/pinaki007/29876016 ।
জামাতের পক্ষ থেকে একটা বিতর্ক চালু করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে। এর ফলে তাদের অপরাধ লঘু করে দেখানোর একটা প্রচেষ্টা করা হয়।
জামাতের পক্ষ থেকে একটা বিতর্ক চালু করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে। এর ফলে তাদের অপরাধ লঘু করে দেখানোর একটা প্রচেষ্টা করা হয়।
পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে সে যুদ্ধ গুলোর কোনটাতেই বেসামরিক মৃত্যুর কোন নাম ধরে তালিকা নাই। এমন তালিকা এখনো করা হয়না। কারণ এটা করা সম্ভব না। যুদ্ধ একটা অস্বাভাবিক অবস্থা, এটা রোড ট্র্যাফিক অ্যাকসিডেন্ট নয়। এসময় শুধু তথ্য সংগ্রহের সমস্যা নয়, এই অস্বাভাবিক অবস্থায় আরো অনেক ঘটনা ঘটে। যেমন, ব্যাপক সংখ্যক মানুষ দেশ ত্যাগ করে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ফেরেনা, অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান, পরিবার-সমাজ বিহীন ভবঘুরে মানুষরাও নিহত হন যাদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়না। এছাড়াও আছে যুদ্ধের কারণে পরোক্ষ মৃত্যু। যারা হত্যা করে তারাও অপরাধ ঢাকার জন্য মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলে। এসব কারণেই যুদ্ধে নিহতের পরিসংখ্যান সব সময় একটা সংখ্যা; একটা নামসহ পুর্নাঙ্গ তালিকা নয়। এটাই পৃথিবীব্যাপী গৃহীত নিয়ম। যারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের তালিকা চায় তাদের যে কোন একটা গণযুদ্ধের বেসামরিক নিহত নাগরিকদের তালিকা দেখাতে বলুন। যুদ্ধে মৃত বা নিখোঁজ সামরিক ব্যাক্তিদের তালিকা করা সম্ভব কিন্তু বেসামরিক ব্যাক্তিদের নয়।
এই এস্টিমেসন কিভাবে করা হয়? আর জে রুমেল তার চায়নাস ব্লাডি পলিটিক্স বইয়ে এবং লিথাল পলিটিক্স বইয়ের পরিশিষ্টে গণহত্যার পরিসংখ্যান কিভাবে করতে হয় সেটার একটা মেথডোলজি দিয়েছেন আগ্রহীরা পুরোটা পড়তে পারেন http ESTIMATING DEMOCIDE: METHODS AND PROCEDURES রুমেলের পদ্ধতি অনুসারে প্রাপ্ত মৃতের সংখ্যাকে আরো সাব গ্রুপে ভাগ করতে হবে যেমন জেলা ওয়ারী, নারী পুরুষ অনুযায়ী এরপর প্রয়োজনে ধর্ম বা জাতি অনুযায়ী; ফলে একটা গ্রহণযোগ্য সংখ্যায় উপনিত হওয়া যায়। এটা অনেক সময়েই একটা রেঞ্জ, যেমন হলোকাস্টে মৃতের সংখ্যা ৪২ লক্ষ থেকে ৬০ লক্ষ। রুমেল যদিও তিনটা রেঞ্জ দিয়েছেন লো, মিডিয়াম, হাই। কিন্তু সাধারনভাবে দুইটা রেঞ্জ ব্যবহার করা হয়। আমেরিকান সিভিল ওয়ারে ৬-৭ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছিলো। রুমেল তার পদ্ধতিতে কিভাবে এই রেঞ্জটা করা হয় সেটারও একটা মেথড বলে দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সিরিয়া যুদ্ধেও এভাবেই মৃতের সংখ্যার হিসাব করা হচ্ছে। ইরাকেও সেভাবেই করা হয়েছে। ইরাক যুদ্ধের নিহতের সংখ্যা নিয়ে গবেষণা পত্র Civilian Death and Injury in the Iraq War, 2003-2013 এই শিরোনামে ২০১৩ তেই প্রকাশিত হয়েছে। আজকে এই ধরণের গবেষণার জন্য ডেটা কালেকশন অনেক সহজ, ৪২ বছর আগে সেটা ছিল না। তবুও সে সময় এই রকম গবেষণার ফলাফলেই ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ইতিহাসের প্রয়োজনে এবং জনগোষ্ঠীর আবেগের সাথে তাল মিলিয়ে যুদ্ধে মৃতের একটা আইকনিক ফিগার বলা হয় যেমন আমেরিকান গৃহ যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বলা হয় ৬ লক্ষ ২০ হাজার। এটা প্রকৃত সংখ্যা নয়, একটা আইকনিক ফিগার।
বাংলাদেশে অনেকে বলার চেষ্টা করেন যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা আন্দাজে বলা হয়েছে। এই অভিযোগটা আসে মুলত জামাত ঘরানার মানুষদের কাছে থেকে। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত কোন আলোচনায় তারা বৈধতা বের করতে পারেনা। কোন যুক্তিতেই তারা কাউকে কনভিন্স করতে পারেনা। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে মানুষকে কনফিউজ করে দিতে চায়।
মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা প্রথমে বিশ্ববাসী জানতে পারে প্রভদায় ৩রা জানুয়ারি ১৯৭২ এ প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে।
প্রাভদার সেদিনের পত্রিকা
শেখ মুজিব দেশে ফিরে দলের নেতাদের গণহত্যার তথ্য জমা দিতে বলেছিলেন। সেই তথ্য কোথায় জমা পড়েছিল বা আদৌ কোথাও জমা আছে কিনা সেটা কারো আজ জানা নেই।
তবে ৩০ লক্ষের হিসাব নিখুতভাবে দেয়া আছে একটি বইয়ে যেটা আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত। আসুন আমরা দেখি।
রুমেল তার STATISTICS স্টাটিস্টিক্স অব ডোমিসাইড বইয়ের Statistics Of Pakistan's Democide Estimates, Calculations, And Sources ৮ম চ্যাপ্টারে মুক্তিযুদ্ধে জেলাওয়ারি শহীদের সংখ্যা, পর্যাপ্ত রেফারেন্স সহ গ্রথিত করেছেন। এই ৩০ লক্ষের বিষয়টা সেখানেই আছে। এই বইটিতে শুধু বাংলাদেশ নয় ভিয়েতনাম যুদ্ধ পর্যন্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক যুদ্ধের পরিসংখ্যান দেয়া আছে। এবং এই বইটি একটা বিশ্বব্যাপী গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক রেফারেন্স।
ছবিটা বড় করে দেখতে চাইলে ক্লিক করুন
সেই বইয়ের হিসাবের ৮২ নং রো এর ১১ নম্বর কলামে দেখুন ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা জ্বলজ্বল করছে। এই টেবিলের প্রত্যেকটা সংখ্যার রেফারেন্স দেয়া আছে। এই সংখ্যাটা হাওয়া থেকে আসেনি। এই মাটিতেই মিশে আছে তাদের রক্ত, এই মাটিতেই তাঁরা কান পেতে আছে মানুষের মুক্তির সংবাদ আর সংগ্রামের বিজয়ের বিউগল ধ্বনি শোনার জন্য।
শান্তিতে ঘুমাও প্রিয় শহীদ, আমরা আমাদের কর্তব্য বিস্মৃত হইনি।
=====================================================================
২য় লেখাঃ এটি লিখেছেন মোঃ মামুন চৌধুরী, ২০১৪ সালে, somewhereinblog এ। এখানে নিহতের সংখ্যার হিসাব-নিকাশের একটা ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।
মূল লেখার লিংকঃ https://www.somewhereinblog.net/blog/neelmamun/29991706
আজকে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোরের একটি নিউজ লিংকে দেখলাম য, তথাকথিত মার্কিনী দালাল আলযাযিরা চ্যানেল এক ভিডিও নিউজে দাবী করে বলেন যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন ৩০ লক্ষ নয় মাত্র ৩-৫ লক্ষ্য মারা গিয়েছে!!
-
সেখানে যে ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে তাতে পুরুষেরা শার্ট প্যান্ট আর মহিলারা টপস /স্কার্ট পরা এবং এরা বর্ণে শ্বেতাঙ্গ!
-
[আমি আমাদের বর্ণ কৃষ্ণাঙ্গ বলছি না কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ছবির মানুষগুলো আমাদের আগের জেনারেশনের কেউ নয়]
-
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ নয় মাত্রা ৩-৫ লক্ষ!!কেউ কেউ বলেন ৯ মাস অর্থাৎ ২৭০ দিনের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ্য লোকের মৃত্যুবরণ ঘটেছে!! মানে প্রতিদিন প্রায় ১১,১১১ জন কে হত্যা করা হয়েছে! ব্যাপার টা আসলেই যেন কেমন কেমন!!
-
একজন মানুষ কে হত্যা করলে কত খবর হয়ে যায় আর এত মানুষ প্রতিদিন মারা হইছে? কেমনে কি??বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৪৩ বছর আগে অথচ এই বিতর্ক এখনো যাচ্ছে না ... যে মহান মুক্তিযুদ্ধে নাকি ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয় নাই ... হয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ!
আচ্ছা বেশি তর্ক বিতর্কের দরকার নাই!!
কয়েকটা নমুনা দেখিঃ
(১) মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের লোক সংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি। এখন যদি প্রত্যেক পরিবারে ৫ জন করে সদস্য করে থাকে তবে ১৯৭১ সালে মোট পরিবারের সংখ্যা গড়ে দেড় কোটি।
৩০ লক্ষ শহীদ মোট জনসংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি অর্থাৎ = ৪%
অর্থাৎ = ১,৫০,০০,০০০ x ৪% = ৬,০০,০০০ পরিবার
অর্থাৎ ৬,০০,০০০ পরিবারের কেউ না কেউ তো মারা গিয়েছেন। এখানে এটা বুঝতে হবে অনেক পরিবারের এমনও হয়েছে কেউ বেঁচে ছিলেন না, আবার ১ জন ছাড়া সবাই মারা গিয়েছেন, আবার ১ জন মারা গিয়েছেন অথবা পরিবারের কেউ মারা যাননি! অর্থাৎ দেড় কোটি পরিবারের মধ্যে ৬ লক্ষ পরিবার হামলার শিকার হয় নি একথা নিশ্চয়ই আপনার না বিশ্বাস করার কথা!
অথবা এভাবে দেখুন, দেড় কোটি পরিবার ছিল আর প্রতি পরিবারে সদস্য সংখ্যা গড়ে ৫ জন! ৩০ লক্ষ লোক দেড় কোটি পরিবারের মারা গিয়েছে অর্থাৎ প্রত্যেক পরিবারে শতকরা ০.২০ জন। অর্থাত ১০০ পরিবারে মধ্যে ২০ টি পরিবার যারা পাকি / পাকির দোসর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে! সংখ্যাটা কি অমূলক!! আপনিই বলেন?
(২) মানব ইতিহাসে যত গণহত্যা হয়েছে এর মধ্যে বাংলাদেশের ১৯৭১’ এর গণহত্যায় স্বল্পতম সময়ে এই সংখ্যা সর্ববৃহৎ। গড়ে প্রতিদিন ৬,০০০ - ১২,০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। .. .. .. এটি হচ্ছে গণহত্যার ইতিহাসে প্রতিদিনে সর্ব্বোচ্চ নিধনের হার।
তার মানে দাঁড়াইতাছে, পাক বাহিনী এই নাপাক কামডা (দিনপ্রতি ৬০০০-১২০০০ বাঙালী নিধন) করছে মোটামুটি ২৬০দিনে (একাত্তুরের ২৫-এ মার্চ থেইক্যা শুরু কৈরা ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত)। আওয়ামী বাকশালী ভারতের দালাল গো দেওয়া তথ্য না, ইউ এন এর নিরপেক্ষ ডাটা লৈয়া একটু হিসাব করণ যাক। আহেন ভাইসব, একটু ক্যালকুলেটর লৈয়া বসি:
বাঙালী নিধনের লোওয়ার লিমিট: ৬০০০ x ২৬০ = ১৫,৬০,০০০ (১৫ লক্ষ ৬০ হাজার)। আর নিধনের আপার লিমিট: ১২০০০ x ২৬০ = ৩১,২০,০০০ (৩১ লক্ষ ২০ হাজার)।
যদি আমরা “হ্যার মাঝামাঝি” লৈয়া হিসাব করি, তাইলে সংখ্যাডা দাঁড়ায়: ২৩,৪০,০০০ (তেইশ লাখ চল্লিশ হাজার)। ... আচ্ছা যান ৩০ লক্ষ নয় তাই বলে ৩লক্ষ তো আর হতে পারে না! অন্তত ২৩ লক্ষ তো হবেই!!
(৩) মুক্তিযুদ্ধে চলাকালীন ৯ মাস অর্থাৎ ২৭০ দিনের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ্য লোকের মৃত্যুবরণ ঘটেছে!! মানে প্রতিদিন প্রায় ১১,১১১ জন কে হত্যা করা হয়েছে! ব্যাপার টা আসলেই যেন কেমন কেমন!!
হিসেব টা একটু অন্যভাবে দেখলে হয় না!
৪৮০ টি থানা, ৪৫০০ ইউনিয়ন, ৬৮০০০ গ্রাম এই ভাবে একটু ক্যালকুলেশন করেন না!
অর্থাৎ প্রতিদিন প্রতিটি থানায় = (৩০,০০,০০০ / ২৬০) / ৪৮০ = ২৪ জন (আনুমানিক) হত্যা করা হয়েছে
একই সূত্রে প্রয়োগ করলে প্রতিদিন প্রতি ইউনিয়নে ৩ জন (আনুমানিক)
আর প্রতিটি গ্রামে ২৬০ দিনে মারা গিয়েছেন = ৩০,০০,০০০ /৬৮০০০ = ৪৪জন (আনুমানিক)
সংখ্যাটি কি খুব বেশি??
গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ... জনমানব শূন্য হয়ে গিয়েছে!
আচ্ছা শুধুমাত্র ২টা দিনের কথা বলি,
২৫ শে মার্চ অপারেশন সার্চ লাইটের অভিযানে শুধুমাত্রা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও শিক্ষক কোয়ার্টার সহ ঢাকা শহরে শুধুমাত্র ৩ ঘন্টায় আনুমানিক ৬,০০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে!
পরিশেষে বলতে চাই এইসব বিশ্ব মিডিয়া ঢালাও ভাবে প্রচার করছে যে ৩০ লক্ষ নয় মাত্র ৩ লক্ষ মারা গিয়েছে!
ভাই আমি আরো কমাইয়া দিলাম যান ৩ হাজার জন মারা গেছেন!
তো আপনি কি বলতে চান ৩ হাজার কোনো সংখ্যা না!
শুধুমাত্র একটা ইনটেলেকচুয়াল জেনারেশন আমাদের মধ্যে হারিয়ে গেছে ... কে দিবে সেই ক্ষতি পূরণ?
মুনীর চৌধুরী বেঁচে থাকলে কত লিজেন্ডারি উপন্যাস পাওয়া যেত! জহির রায়হান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের সিনেমা সংস্কৃতি আজকে এখানে পড়ে থাকতো না। উনাদের অভাব কি আমারা টের পাচ্ছি না ...
এক হূমায়ুন আহমেদে মারা গিয়েছেন ... তার জায়গাটাই তো কেউ পূরণ করতে পারছেনা।
মোদ্দা কথা যাকে সাপ দংশন করেনি সে কিভাবে বুঝবে সাপের দংশনের যন্ত্রনা।
দুঃখ একটাই আমরা স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরে এসেও কেউ পাকির দালাল কেউ ভারতের কেউ আম্রিকার কিন্তু বাংলাদেশের দালাল কেউ হতে পারলাম না!
প্রয়োজনীয় লিংকঃ
১) তথ্য’বিনা মিথ্যা বোনা
২) ত্রিশ লক্ষ শহীদ : মিথ নাকি বাস্তবতা ?
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩ লাখ নাকি ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলো |
No comments