Header Ads

Header ADS

পড়াশুনা বা জ্ঞান অর্জন - ১

পড়াশুনা বা জ্ঞান অর্জন কি ?

পড়ালেখার ইতিহাস বা কিভাবে এটা আসলো সেটা নিয়ে নাহয় আলাদা লেখা যাবে কিন্তু আমরা যদি প্রাচীন কালের মানুষের সাথে বর্তমান আধুনিক যুগের জ্ঞান অর্জনের কথা চিন্তা করি তাহলে একটা জিনিস দেখবো সেই সময় তারাও তাদের মত জ্ঞান অর্জন করতো আজ আমরাও সেই কাজটাই করি কিন্তু পার্থক্য সময়ের। হয়তো এখন যেভাবে পড়াশুনা হচ্ছে ভবিষ্যতে সেই মাধ্যমে আরও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

শুরুতে প্রাচীন যুগে বর্ণ, ভাষা এসব কিছুই ছিলোনা, কিন্তু তারা কি বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী ছিলোনা ? মনে করুন তারা পাথরের তৈরি হাতিয়ার দিয়ে পশু শিকার করতো। এখন কেউ যদি এই হাতিয়ার কিভাবে বানাতে হয় এটা অন্যজন কে সেখায়, আবার এই হাতিয়ার টা দিয়ে কিভাবে গুতা দিলে পশু মরে এই শিক্ষা দেয় তাহলে কিন্তু একজন আরেকজন কে একটা শিক্ষা দিলো বা বলতে পারেন জ্ঞান দান করলো।

আমরা কেন পড়াশুনা বা জ্ঞান অর্জন করি ? 

আমরা কেন পড়াশুনা করি ?

দেখুন প্রাচীন কালে মানুষের চাহিদা ছিল কম। কোন ভাবে ক্ষুদা নিবারনের জন্য খাবার সংগ্রহ করা। এক সময় ফল-মূল খেয়ে ছিল, পরে প্রাণী শিকার করে চলল। একসময় তারা কৃষিকাজ শিখলো। কৃষিকাজ কিন্তু মেয়েরা আবিস্কার করেছিলো। যাইহোক, তো তাদের সময় চাহিদা অনুযায়ী তারা বিভিন্ন কাজ করা শিখেছে। শিখেছে কারন ঠেকা ছিল, একটা কিছু শিখাতে সেই মেধা দিয়ে কিছু একটা করতে পারবে। বাপ শিকারে গেছে কারন সে জানে কিভাবে শিকার করতে হয়। খাবার দরকার তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের জন্য। আবার ছেলে-পেলে বড় হল, সময় গড়াল, চাহিদা বাড়ল। এখন শুধু ক্ষুদা নিবারন করলেই হবে না। জামা-কাপড় চাই, থাকার জন্য ঘর চাই, প্রাণী হত্যা না করে সেটা যদি লালন-পালন করি তাহলে সেটা দুধ দেয়, সেটা বাচ্চা দিলে তার থেকেই আরও খাবার পাই। তো এই কাজ তো কিভাবে করে সেটা জানতে হবে ? সেই জানাটাই তো জ্ঞান। সময়ের পরিবর্তনে সাথে মানুষের চাহিদারও পরিবর্তন হয়েছে। সেই চাহিদা তখন'ই পূরণ হবে যখন সে অনুযায়ী কাজ হবে। আর কাজ টা যে করবে তার অবশ্যই সেই বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। এই জ্ঞান আমরা অর্জন করি কারন এটা আমাদের দরকার। একান্ত নিজের জন্য। নিজে পারলে তো সেই জ্ঞান দিয়ে অন্য কে সাহায্য করবো।

জ্ঞান অর্জন কিভাবে করা যায় ?

বর্তমান যুগ বলেন আর প্রাচীন জিনিস কিন্তু একটাই থাকছে, একজন একটা কিছু পারে। সে সেই জিনিস টা অন্য একজন কে সেখাচ্ছে। এখানে শেখানোর বিভিন্ন মাধ্যম হতে পারে। বই, ভিডিও, অডিও, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, PHD ইত্যাদি। জ্ঞান অর্জনের কোন নির্দিষ্ট মাধ্যম নাই। তবে কোন বিষয়ে জানার জন্য সেই বিষয়ে বিজ্ঞ কারো কাছে শেখাটাই সবচেয়ে বেশি ভালো। এই জন্যই আমরা ছোটবেলায় বাবা-মায়ের কাছে বর্ণমালা শিখে স্কুল-কলেজে আরও বেশি জানার জন্য ভর্তি হই।

আবার কিছু মানুষ আছেন যারা নিজ থেকেই শিখেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হয়তো তাদের নেই কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখা দরকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কারন এখানে আপনি যেটা শিখছেন সেটা সেই বিষয়ে অলরেডি জানে এমন কারো কাছে। তাই সেটা তুলনামূলক সহজ এবং নির্ভুল। নিজে নিজে শিখতে পারবেন না এমন নয়। তবে বাক্য তৈরির জন্য অন্তত বর্ণমালাটা তো কোন ভাবে শিখতে হবে।

জ্ঞান হচ্ছে আলো। সেই আলোয় নিজেকে আলোকিত করুন। এই লেখার ২য় পর্বে কিভাবে আমরা একটা ভালো সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে পারি সে বিষয়ে বলার চেষ্টা করবো।





No comments

Powered by Blogger.